📄 মুসলিম দুই ধরনের।কথাটা শুনে অবাক হলেও কথাটা সর্বাঙ্গে সত্য। বিষয়টি আপনার কাছে অবাক লেগে থাকলে একবার বিষয়টা জেনে নিন।
মুসলিম দুই ধরনের, তথা-
⭐️ মুসলিম বাই চন্স (অর্থাৎ ঘটনাক্রমে মুসলিম)
⭐️ মুসলিম বাই চয়েজ ( অর্থাৎ বাছাইক্রমে মুসলিম)
এগুলো আবার কেমন কথা? এভাবে আবার কেমন করে মুসলিম হয়? এসব প্রশ্ন অযৌক্তিক নয়। যেকোনো মানুষের মনেই এ প্রশ্ন মেঘে ঢাকা আকশে সূর্যের মতো করে উঁকি দিতেই পারে। আসলে এসব প্রশ্ন যৌক্তিক এবং এর যৌক্তিক উত্তরও বিদ্যমান।
প্রথমে আসি “মুসলিম বাই চান্স” এর ব্যাপারে। এভাবে মুসলিম হওয়ার অর্থ হলো জন্মগতভাবে মুসলিম। অর্থাৎ আপনি যদি মুসলিম ঘরে জন্ম গ্রহন করে থাকেন তবে আপনি মুসলিম বাই চান্স। অর্থাৎ ঘটনাক্রমে মুসলিম। এতে স্বভাবতই আপনি ইসলাম সম্পর্কে বেশি কিছু না জেনেই বলেন ইসলাম সত্য আর ইসলাম ধর্ম পালন করেন।
এরপর “মুসলিম বাই চয়েজ” এ আসা যাক। এভাবে মুসলিম হওয়ার অর্থ হলো আপনি মুসলিম হিসেবে জন্মাননি তবে ইসলাম সম্পর্কে জেনে মনে হয়েছে এটা সত্য ধর্ম এবং এরপর আপনি মুসলিম হয়েছেন। এরকম মুসলিমদের ইসলাম সম্পর্কে গভীর জ্ঞান থাকে এবং তারা শিওর হয়েই ইসলাম ধর্মকে সত্য মানেন এবং পালন করেন।
এখন এই দুই ধরনের মুসলিমদের মধ্যে স্বভাবতই ‘মুসলিম বাই চয়েজ’ ক্যাটাগরির মুসলিমদের ইমান থাকে ‘মুসলিম বাই চান্স’ ক্যাটাগরির মুসলিমদের থেকে বেশি। কারণ তারা জানে যে ইসলাম সত্য তাই তারা জীবিন দিয়ে হলেও ইমান রক্ষা করার চেষ্টা করে।
অন্য দিকে ‘মুসলিম বাই চান্স’ ক্যাটাগরির মুসলিমদের ইমান সাধারণভাবে ‘মুসলিম বাই চয়েজ’ ক্যাটাগরির মুসলিমদের চেয়ে কম। যারা সহজেই তাদের ইমান হারিয়ে ফেলে।
‘মুসলিম বাই চান্স’ ক্যাটাগরির সকল মানুষ এমন তা বলছি না। তবে এখানে সংখ্যাটা অনেক কম। যেখানে ’মুসলিম বাই চয়েজ’ ক্যাটাগরির মুসলিমদের মধ্যে এ সংখ্যা প্রায় ১০০ শতাংশ। তারা অধিকাংশই বিশ্বাসী।
এর একটা জলজ্যান্ত প্রমাণ দেওয়া যায়। আমাদের নবি (সাঃ) এর সময় যতজন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তারা সবাই মুসলিম বাই চয়েজ। তাদের ইমানি শক্তি স্বভাবতই ‘মুসলিম বাই চান্স’ ক্যাটাগরির মুসলিমদের থেকে বেশি।
আমরা প্রায় সকলেই মুসলিম বাই চান্স, আমরা অধিকাংশই মুসলিম ঘরে জন্মগ্রহণ করেছি বলেই নিজেকে মুসলিম দাবি করি, কিন্তুি ইসলামের কোনো নিয়মই মানি না। সামান্যত, নামাজ যা সবার উপরে ফরজ সেটাই আমরা সকলে আদায় করি না।
‘মুসলিম বাই চান্স’ ক্যাটাগরির মুসলিম হয়েও একজন সেরা বিশ্বাসী হওয়া যায়। যার জলজ্যান্ত প্রমান হলো ইমাম বুখারী রহ., ইমাম আবু হানিফা আরো অনেক অনেক।
✍️✍️✍️
নিজেকে বিশ্বাসী করে গড়ে তুলুন। অবিশ্বাসী হবেন না। মহান আল্লাহ তায়ালা সত্য, কিয়ামত সত্য, কবরের আযাব সত্য, জান্নাত-জাহান্নাম সত্য। এসব জেনেও আমরা কেন উদাসীন। আর কীভাবে বোঝানো যায় আমার ঠিক জানা নেই।
মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হেদায়েত দান করুন...( আমিন)
🤲🤲🤲🤲🤝