পশুর প্রতি নিস্বার্থ ভালোবাসাকেই মহান আল্লাহ তায়ালা কুরবানি করতে বলেছেন। ইবরাহিম আঃ তো তার সবচেয়ে ভালোবাসার বস্তু তার ছেলে ইসমাইল আঃ কেই কোরবানি দিতে রাজি হয়েছিলেন।
কুরবানির অর্থই হলো ত্যাগ। যে পশুটার প্রতি ভালোবাসাই থাকলো না তাহলে তাকে কুরবানি করা না করা সমান। যে পশুর প্রতি ভালোবাসা থাকবে তাকেই তো কুরবানি করতে হবে। কারণ এটাই মহান আল্লাহ তায়ালার পরিক্ষা। শত মায়া মমতা ত্যাগ করে চোখের কিছু পানি ঝড়িয়ে রবের জন্য ত্যাগ। এ ত্যাগের যে কোনো ভাষা নেই । আছে শুধু রবের কাছ থেকে কিছু আদেশ।
কুরবানি ত্যাগ করতে শেখায়, মনের ভেতরের ভালোবাসাটাকেই মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে সমর্পন করতে হয়। যদি আপনি এমন পশুকে কুরবানি দেন যে পশুর প্রতি আপনার এতটুকুও ভালোবাসা, মায়া-মমতা নেই, নেই কোনো অনুভূতি, যাকে কোরবানি করার পর আপনার মনে তার জন্য শূণ্যতা অনুভব হবে না তাহলে সে কুরবানি নিতান্তই অর্থহীন।
যার প্রতি আপনার কোনো টানই অনুভূত হয় না তাকে কুরবানি দিলে আপনার ত্যাগ হলো কোথায়? যেখানে কুরবানির উদ্দেশ্য হলো ত্যাগ ও তাকওয়া অর্জন সেখানে আপনাকে আপনার মনের ভালোবাসাকে ভেদ করে প্রিয়-মমতাময় পশুটিকেই আল্লাহর তরে কুরবানি করতে হবে।