📄 কিছু কিছু ঘটনা যা ভুলবার নয়। ১৫এপ্রিল ১৯১২ সালে হয়তো আমারা কেউই টাইটানিকের ওরকম ধ্বংস হয়ে যাওয়া দৃশ্যটা দেখিনি, যেটুকু কানে শুনেছি আর পড়েছি। কিন্তু আজ পুরো বিশ্ব দেখলো মানবজাতি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে কতটা অসহায়! কে ভেবেছিলো যে এক ইতিহাসকে চোখের সামন থেকে প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে কিছু মানুষ হারিয়ে যাবে ইইতহাসের অতল গহীনে। নিকষ কালো অন্ধকারে? কেউ আন্দাজও করেনি।
টাইটান ডুবোজানটি ১৮ ই জুন আটলান্টিক মহাসাগর তলদেশে ৫ জন মানুষ নিয়ে রওনা দেয় টাইটানিক এর ধ্বংসাবশেষ দেখার উদ্দেশ্যে, গমনের ২ ঘন্টার মাথায় কেন্দ্র হতে তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত কয়েকদিন হতে কত্ত খোজাখুজি হলো, অবশেষে পাওয়া গেল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেস এর পাশে পড়ে থাকা টাইটানের ধ্বংসাবশেষ। ধারণা করা হয় ভেতরের মানুষগুলো টাইটানের বিস্ফোরনের কারনে মারা গিয়েছে।
তাদের মৃত্যুর মুহূর্টাকে কী কোনোভাবে কল্পনা করা যায়?যদি যায় তবে কেমন সে কল্পনা? কতটা ভয়ানক? পানির ৩.৮ কিলোমিটার নিচে কতটা চাপ অনুভুত হতে পারে তা কল্পনা করাও ভয়ানক ব্যাপার।প্রচন্ড চাপে তাদের দেহ হয়তো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
একবারটি ভেবে দেখুন তারা প্রত্যেকেই ছিলো কোটিপতি। কিন্তু মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের কেমন নির্মম মৃত্যুর ব্যবস্থা করে রেখেছেন ! আপনি মহহাকাশে থাকুন বা পানির অতল গভীরে মালাকুল মাউত আপনার বুহ কবজ করবেই। তবুও আমাদের এতটা অহংকার? কেন?
তারা কিন্তু আর ফিরবে না। কোনোদিনও না। তারাও হারিয়ে গেছে, এ কদিন তাদের জন্য বাইরের দুনিয়ায় কতকিছু হলো তা হয়তো তারা কিছুতেই জানতে পারবে না। মহান আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে উপযুক্ত মর্জাদা দান করুন ( আমিন)